বসুন্ধরায় তরুণীকে মারধর ও মাথা ন্যাড়ার অভিযোগে মামলা

প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩, ১৫:৩৪

জাগরনীয়া ডেস্ক

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শারীরিক নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগে ভাটারা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী (২০) নিজেই। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সিকিউরিটি গার্ডকে অভিযুক্ত করে গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, যেখান থেকে তাকে (তরুণী) তুলে নেওয়া হয়েছে সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নাই। একইভাবে যেই নার্সারি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেও কোনো ক্যামেরা পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।

মামলায় ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। থাকতেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায়। পূর্বশত্রুতার জের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সিকিউরিটি গার্ড গত রোববার সকাল ৮টার দিকে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় মাদানী এভিনিউয়ে একটি নার্সারির ভেতরে। সেখানে অজ্ঞাতনামা সিকিউরিটি গার্ডরা ভুক্তভোগী তরুণীকে মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। এক পর্যায়ে ভাটারা থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। রবিবার (৩০ এপ্রিল) থানায় উপস্থিত হয়ে এক ভুক্তভোগী অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সিকিউরিটি গার্ডের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫৬। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে এবং তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যেহেতু ভুক্তভোগী কারো নাম পরিচয় জানাতে পারেনি তাই একটু সময় লাগছে। আশা করি শিঘ্রই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন এবং মামলা নিতে পুলিশ কালক্ষেপণ করেছে এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ধরনের কথা ভাইরাল হয়। এর সত্যতা অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায়না। আমি মনে করি যে কথার সত্যতা নাই, সে কথা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ না করাই উচিত। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী মা নিজে থানায় এসেছিলেন এবং মামলা করার পর নিজ দায়িত্বে তার মেয়েকে নিয়ে গেছেন। এখানে পুলিশ কালক্ষেপণ করেছে কথাটি মিথ্যা।

জাগরণীয়া.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত