‘নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর’

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৪৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১০ বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও প্রথা বিলোপ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান মজুরি করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও বিপণন সুবিধা করার বিষয়ে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছে। ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ পাশ করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৩, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ৬ মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা-উপজেলায় ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ন্যাশনাল হেল্প লাইন (১০৯) চালু করা হয়েছে। আমাদের এ সকল পদক্ষেপের ফলে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্রবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের উপরে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন এবং জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকার বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র: বাসস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত