চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: আরও ০২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩২

জাগরণীয়া ডেস্ক

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন আরও ০২ জন। এরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৫৫) ও সোহাগ (২৫)। 

২৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ১০টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ।

নিহত আনোয়ারের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার রায়নগর গ্রামে। পেশায় রিকশাচালক আনোয়ার কামরাঙ্গীরচরের ছাতা মসজিদের পূর্বপাশে স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। একমাত্র মেয়ে বীথির আবদারে তার জন্য বিরিয়ানী কিনতে সেদিন চকবাজারে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

অপরদিকে, চকবাজারে একটি প্রসাধন সামগ্রীর গুদামে শ্রমিকের কাজ করতেন সোহাগ। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার মাহমুদপুর গ্রামে। সেই রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। তারও শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। 

বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন বাকি সাতজনের খবর জানতে চাইলে ডা. সামন্ত লাল বলেন, “একজনও আশঙ্কামুক্ত নন। এই রোগীদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।”

এদিকে, আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ নামের এই দুইজনের মৃত্যুতে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৬৯ জনে দাঁড়াল।

উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।

খবর পেয়ে এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। 

ওই অগ্নিকণ্ডে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। এখন বাকি সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত