পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানি, নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আরও জনবান্ধব হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

০৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হাতে কোনো নিরীহ জনগণ, কেউ যেন নির্যাতনের শিকার না হয় বা কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। বরং কোনো হয়রানি হলে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা- এটাই আপনাদের কর্তব্য, এটাই জনগণ আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।

তিনি আরও বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব। নিজের দেশ নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেই এ দেশকে আরও উন্নত করতে কাজ করবেন।

মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানে থাকবে উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সাথে সাথে নিরাপদ সড়ক নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন,  একজন সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নাই, বর্ণ নাই, দেশও নাই, কিছুই নাই। কাজেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সেই অরাজকতা সৃষ্টির সময় পুলিশ বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল। তারা শক্ত হাতে সেই দুর্যোগ মোকাবেলা করেছিল। যেসকল পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেসময়ের অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে আজ মাদক দমন, সন্ত্রাস দমন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর যে ভূমিকা পালন করেছে তা শুধু বাংলাদেশেই না পুরো বিশ্বে সমাদৃত। এসময় তিনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর তৎপরতার প্রশংসা করেন। 

বিগত দশ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৯১ হাজার জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি জটিলতা দূর করা ছাড়াও পুলিশের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহা-পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত