‘মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত নিতে হবে’

মিয়ানমারকে অবশ্যই এখান থেকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। তাদের প্রত্যাবর্তনে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই-বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৩০ জানুয়ারি (বুধবার) ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী জুয়্যান কুউক দেজং গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে ভিয়েতনামসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। কিন্তু এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তার সরকার রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরে একটি দ্বীপের উন্নয়ন করছে। তবে তাদেরকে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।

১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে ভিয়েতনামের উপমন্ত্রী কুউক দেজং বলেন, এট অত্যন্ত মানবিক একটি কাজ, তবে বিশাল এই জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য এক বড় বোঝা। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতির অংশ হিসেবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের চিরাচরিত বন্ধু উল্লেখ করে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের জন্য দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরালো হলে দুই দেশের পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে বলে মতামত দেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসা বাণিজ্য জোরদারের বিষয় বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে বিপুল সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।

সূত্র: বাসস