কবিরহাট গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জামাল উদ্দিন (২৮) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

২৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশাবাহী এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তরকৃত জামাল উদ্দিন একই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, গ্রেপ্তারের পর জামালকে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়েছে।চ

এদিকে, মেডিকেল বোর্ড ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি এমন প্রতিবেদন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। আলামত না পাওয়ায় ওই গৃহবধূ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

ওই গৃহবধূ জানান, ওইরাতে তিনজন তার মুখে কম্বল চাপা দিয়ে গণধর্ষণ করেন। শরীরে এখনো নির্যাতনের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুইবার চিকিৎসকেরা তার কাছ থেকে আলামত নিয়েছিলেন। ঘটনার দিন তার পরনে থাকা কাপড়গুলো তিনি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছিলেন।

এরআগে, এ মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া তথ্যমতে ওই গৃহবধূর তিন আত্মীয় আবদুর রব মান্না, হারুন অর রশিদ ও সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জহির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো পাঁচজন জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন। 

বর্তমানে ওই গৃহবধূর তিন আত্মীয় ডিবি কার্যালয়ে চারদিনের রিমান্ডে রয়েছে। ্তবে এই ঘটনার সাথে গৃহবধূর আত্মীয়রা কেউ জড়িত নন বলে দাবী করে তাদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন নির্যাতিতা। নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূ বলেন, আসামি জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধ আত্মীয়দের ফাঁসিয়েছেন।