‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে’

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখার জন্য সরকার তার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে-বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৩ জানুয়ারি (রবিবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর প্রথম কার্যদিবসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও কোন দেশের পক্ষেই শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সরকারের একটা দায়িত্ব হলো এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাতে এটি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা দেশে বারংবার ঘটেছে। কিন্তু আমরা দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। প্রযুক্তির বদৌলতে এই সাফল্য এসেছে এবং এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা ভালো ফল।

তিনি বলেন, এমনকি পাকিস্তানের জনগণ আমাদের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বাংলাদেশের মতো তাদের দেশকে রূপান্তরিত হতে দেখতে চায় এবং এর চেয়ে আনন্দের মূহুর্ত আর হতে পারে না। আমরা আর অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের জনগণের সেবা করার ব্যাপারে কোন চিন্তা ছিল না। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কিভাবে কাজ করা যায় সেকথা চিন্তা করে এবং ওই চিন্তার কারণে আমরা তাদের জন্য কি করেছি।

শেখ হাসিনা ২০২০-২০২১ সালে ব্যাপক ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মুজিব বর্ষ’ পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ এবং এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। 

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়কারি এম. আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব, উপদেষ্টাবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকরা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

তথ্যসূত্র: বাসস