ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হলো সেই শিশুর মরদেহ
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:২৬
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যাওয়া সাতদিনের সেই কন্যা শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অজমির গ্রামের কবরস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ তোলা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ তোলার সময় বড়লেখা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর দেশব্যাপী পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের সময় গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বড়লেখা থেকে সিলেট নেয়ার পথে অবরোধের কারণে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়।
শিশুটির চাচা আকবর আলী অভিযোগ করেন, সিলেট যাওয়ার পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজারে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রথমে আটকান পরিবহন শ্রমিকরা। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেয়া হলেও একইভাবে দাসেরবাজার এলাকায় আবারও বাধার মুখে অ্যাম্বুলেন্সটি। চান্দগ্রাম বাজারে আবার শ্রমিকরা অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেন। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মারধরও করা হয়। ফলে বিনা চিকিৎসায় রাস্তায়ই শিশুটি মারা যায়।
৩১ অক্টোবর শিশুর চাচা আকবর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৬০ থেকে ১৭০ জন শ্রমিককে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় উপজেলার মহদিকোনা গ্রামের হবীব আলীর ছেলে আলীম উদ্দিন (৪৮) কে গত ৩ ডিসেম্বর এবং পরের দিন একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন রাজনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দুজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।