পাবনায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকিয়া সুলতানা ঝুমু (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরী হয়েছে।

১ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শারিরীক নির্যাতনের পর গৃহবধূর মৃত্যুটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেয়া চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহতের ভাই আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, প্রায় চার বছর আগে দাদপুর গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম রিন্টুর সঙ্গে জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরও যৌতুকের টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমুকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এমনকি তাকে বাপের বাড়ি কথা বলতে ও বেড়াতে যেতে দিতো না। 

১ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালের দিকে ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রতিবেশী ফোন করে জানায়, ঝুমু বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে দগ্ধ হয়েছে। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে শুনতে পাই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। এসময় ঝুমুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমুর মরদেহ গাড়িতে তুলছিল কিন্তু আমাদের দেখে তারা সটকে পড়েন। ঝুমুর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয়। আমরা মরদেহ ময়না তদন্ত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে দগ্ধ হলে প্রতিবেশীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ঝুমুর মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।