আপিল খারিজ, মোহাম্মদপুরের সেই দুই হাসপাতাল বন্ধ হচ্ছে
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে হাসপাতাল দুটি একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল দুটি হলো- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) উপরোক্ত দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশের পক্ষেই রায় দিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
হাসপাতাল দুটির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর সংশ্লিষ্ট রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধ হাসপাতাল সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন মিডিয়ায় আসার ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
সেই রিটের প্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের অনুমোদনহীন ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয় বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেয় উচ্চ আদালত।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। আজ সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড, বাবর রোড ও খিলজি রোডের অনুমোদনহীন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হলো- বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, পাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।