মাসুদা ভাট্টির মামলায় মঈনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২৮
টকশোতে কটূক্তির অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি।
মামলাটি আমলে নিয়ে ২১ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে বিচারক ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এক মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ১৮ অক্টোবর ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে নারী সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দুটি দাবি তুলে ধরেন। তা হল- ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে তিনি এ রকম ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।
এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে ২০ অক্টোবর (শনিবার) বিবৃতি দেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫৫ সম্পাদক ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক।
তবে এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মঈনুল ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের প্যাডে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন- ওই মন্তব্যের জন্য তিনি টেলিফোনে মাসুদা ভাট্টির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার পরও ‘মহলবিশেষ’ তার বিরুদ্ধে ‘অশালীন ভাষায়’ বক্তব্য দেয়ায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন। ‘মাসুদা ভাট্টি আমার রাজনৈতিক সত্তা ও সততা নিয়ে দারুণ আপত্তিকর ও অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন। তাই আমিও তার সাংবাদিকতার নিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করেছি। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি না, তাই তার ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলার প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনি আরও লেখেন, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বলেছেন- লোকে আমাকে সেভাবে দেখে বলেই তিনি বলেছেন। কিন্তু ফেসবুকে মাসুদা ভাট্টির ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে জঘন্য ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে আমি তো তার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করছি না।’ ‘অবাধ’ নির্বাচনের দাবিতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায় কিছু লোক ‘বেসামাল’ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন মঈনুল।