‘নির্বাচন হবেই, ঠেকানোর শক্তি কারও নেই’

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৫২

জাগরণীয়া ডেস্ক

আগামী নির্বাচন হবেই। এ নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই- বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।  নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আহবান করেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতার শঙ্কা-উদ্বেগ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না, কারও শক্তি নেই নির্বাচন ঠেকানোর। যারা ঠেকাতে চেয়েছিল, তাদের আগেরবার যেমন জনগণ মোকাবেলা করেছিল, এবারও মোকাবেলা করবে।

নির্বাচন নিয়ে সংলাপ আয়োজন ও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির বেশ কিছু শর্তের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। ফোনও করেছিলাম, আপনারা জানেন- ধরেননি (খালেদা জিয়া)। খালেদা জিয়ার ছেলে (আরাফাত রহমান কোকো) যখন মারা গেলো, তখন গেলাম, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলো। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সঙ্গে আমি আর আলোচনায় বসবো না।

তিনি আরও বলেন, আমারও আত্মসম্মানবোধ আছে। সে আমি ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি। এখন যে যা-ই বলুন, তাদের সঙ্গে আমি অন্তত আলোচনায় বসবো না।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নাকি খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কে নির্বাচনে এলো না এলো, এটা দেখার বিষয় সরকারের নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে হলে হয় কোর্ট থেকে, না হয় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়াকে আমি গ্রেপ্তার করিনি, রাজনৈতিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সে গ্রেপ্তার হয়েছে এতিমের টাকা চুরি করে। কেস তো আরও আছে। তাদের আমলে আন্তর্জাতিকভাবে এমন অনেক ঘটনা আছে।

সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন গণভবন থেকে এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’(বিমসটেক) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের সরকার প্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। দুই দিনের সরকারি সফর শেষ করে শুক্রবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত