বিউটি ধর্ষণ ও হত্যার মূল আসামি বাবুল ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:০৭
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
১ এপ্রিল (রবিবার) বিকেলে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছমা বেগমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে আসামি বাবুলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মানিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩০ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাতে সিলেটের বিয়ানিবাজার এলাকার রামদা গ্রামে ফুফুর বাড়ি থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। ৩১ মার্চ (শনিবার) তাকে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু আসামি ধরা পড়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমাণ্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে।