বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে, তবে নিজেরটা ভুলে নয়
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২৪
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক ভাষা শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে কিন্তু কোনভাবেই নিজেরটা ভুলে নয়। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে-বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জন। স্বাধীনতার অর্জন যেন কোনোভাবেই নস্যাৎ না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। একুশে পদক প্রাপ্তদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি, আরো অনেক যোগ্য, অনেক রত্ন এই দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। তাদের খুঁজে খুঁজে এনে সম্মাননা দেয়া প্রয়োজন। যেহেতু ২১ ফেব্রুয়ারি তাই আমরা ২১ জনকে নিয়েছি। আশা করি, তাদের ভবিষ্যতে সম্মানিত করতে পারবো।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ‘একুশে পদক’ প্রাপ্ত দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে পদক তুলে দেন।
একুশে পদক প্রাপ্তরা হলেন:
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী (মরণোত্তর), ইলিয়াস কাঞ্চন, আ জা ম তকীয়ুল্লাহ (মরণোত্তর), অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম, শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মো. খুরশীদ আলম, মতিউল হক খান, বেগম মীনু হক (মীনু বিল্লাহ), হুমায়ুন ফরিদী (হুমায়ুন কামরুল ইসলাম), নিখিল সেন (নিখিল কুমার সেনগুপ্ত), কালিদাস কর্মকার, গোলাম মুস্তাফা।
সাংবাদিকতায় একুশে পদক পেয়েছেন রণেশ মৈত্র। গবেষণায় ভাষা সৈনিক প্রফেসর জুলেখা হক। অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী।