ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:০০
রাজধানীর পল্লবীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাবীকে হত্যার দায়ে রাব্বি হোসেন মনা নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত রাব্বি পল্লবী থানাধীন নন লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
১০ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান চার বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সায়েরা খাতুন আলো সেলাইয়ের কাজ করতেন। পল্লবীর এক বাসায় তার স্বামী সোহেলকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। তার দেবর রাব্বিও ওই বাসতেই থাকতেন। কাজকর্ম না থাকায় রাব্বির কোনো আয় রোজগার ছিল না। এ নিয়ে ভাবীর সঙ্গে প্রায়ই তার কথা কাটাকাটি হত।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে আলো তার বন্ধক রাখা একটি সোনার চেইন ফেরত আনার জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এসময় নিরাপত্তার কথা ভেবে রাব্বিকেও তিনি সঙ্গে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলোর মোবাইল থেকে ফোন করে সোহেলকে জানানো হয় যে, তাকে খুন করা হয়েছে। এর পর পল্লবীর সেকশন-১১ তে আব্বাস উদ্দিন স্কুলের ঢালে আলোর লাশ পাওয়া যায়। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
ঘটনার পর থেকে রাব্বি পলাতক ছিল। আলোর ভাই মোঃ শাহজালাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাব্বি পরে ভাবীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছর ১৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে রাব্বির বিচার শুরু করে আদালত।
মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মোঃ আবদুল কাদের পাটোয়ারী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মোঃ আমিন উদ্দিন।
রায় ঘোষণার আগে বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান সমাজে অহরহ খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকল্পে এ ধরনের মামলার আসামির উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক।