আপন জুয়েলার্সের দুই মালিককে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১১:২২
রাজধানী বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের দুই চাচা গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম নূরুন্নাহার ইয়াসমিন ২২ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (গুলশান এলাকা) এসআই ফরিদ মিয়া।
পরোয়ানাভুক্ত দুই ভাই গুলজার ও আজাদ গহনা বিক্রির প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক।আপনের মালিকানায় রয়েছেন সাফাতে বাবার দিলদার আহমেদও। মুদ্রা পাচারসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনে দিলদারের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।
বনানীর হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত মে মাসের শুরুতে দিলদারের ছেলে সাফাতের বিরুদ্ধে মামলার পর তার পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
ওই মাসের শেষ দিকে আপনের ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
শুল্ক ফাঁকি রোধে দায়িত্বরত এই সংস্থার ভাষ্যমতে, মজুদ এসব সোনা-গহনার বৈধতার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট দিলদার ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় মামলা পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুদ্রা পাচার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ (সংশোধিত ২০১৬) অনুযায়ী গুলশান থানায় দায়ের করা দুই মামলায় গুলজার ও আজাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা এল।
আজাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) এম আর জামান বাঁধন। আর গুলজারের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এআরও বিজয় কুমার রায়।
এ দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেনি।
এই দুই মামলায় ২২ আগস্ট হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন তারা।
ওই জামিনের মেয়াদ শেষে ২২ অক্টোবর (রবিবার) মামলার শুনানির ধার্য দিনে আসামিরা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে অসুস্থতাকে কারণ দেখিয়ে সময় আবেদন ও জামিন চান। তবে বিচারক তা নাকচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।