আটক জঙ্গিই কি তবে রোহান?

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০১৬, ১৪:০০

জাগরণীয়া ডেস্ক

গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের মধ্যে ৫ জন নিহত ও ১ জন আটকের কথা বলা হয়েছিল সেনাসদরের ব্রিফিংয়ে। এরপরেই সন্ত্রাসীদের লাশের ছবি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বার্তা সংস্থা আমাক নিউজের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স যে ৫ জনের ছবি প্রকাশ করে তা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় প্রতিটি মহলে। আইএস এর দাবি ওই ৫জনই হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে অনেকেই ৫টি লাশের ছবি ও আইএস প্রকাশিত ৫টি ছবি মিলিয়ে প্রকাশ করেন। সেই ছবিতে খোঁজ পাওয়া যায়, নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামে একজন ওই রেস্তোরাঁর শেফ বা রান্নাঘরের কর্মী ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ বলছে, তিনি ঘটনার শিকার। সন্ত্রাসী হামলার পর সাইফুল তাঁর ভগ্নিপতিকে ফোন করে বলেছিলেন যে তাঁরা বন্দুকের মুখে জিম্মি অবস্থায় আছেন।

এদিকে সেনা সদরের ব্রিফিয় অভিযানের সময় ১ জনকে আটক করার কথা বলা হলেও সোমবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এতে রহস্য আরো জটিল হয়ে উঠে। 

হামলার সময় পালিয়ে আসা হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁর কর্মীসহ সেনা অভিযানে উদ্ধার হওয়া জিম্মি ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় হামলাকারি ছিল ৫ জন।

এর মধ্যে সেই ৫ জঙ্গির ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো নিহত সন্দেহভাজন হামলাকারীদের চার জনের পরিচয় প্রকাশ করে। তবে একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকা থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করা মীর সামেহ মোবাশ্বের, মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম, তবে আগে ঢাকার টার্কিশ হোপ স্কুল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিল সে। অন্যজন হলেন বগুড়ার একটি মাদ্রাসার ছাত্র খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। পুলিশ বলছে, বগুড়ার খায়রুলই গুলশানে হামলার নেতৃত্বে ছিল। সে এর আগে উত্তরবঙ্গে অন্তত তিনটি হত্যায় জড়িত ছিল।

এর আগে শনিবার (০২ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিহত ৫ জনের লাশের ছবি গণমাধ্যমে পাঠিয়ে বলেছিল তাঁদের নাম আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। কিন্তু বাস্তবে এঁদের কারও নাম মেলেনি। আর হামলাকারী জঙ্গি হিসেবে যে পাঁচটি লাশের ছবি পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ওই রেস্তোরাঁর কর্মী সাইফুলের ছবিও ছিল। পাওয়া যায়নি রোহান ইবনে ইমতিয়াজ এর লাশের ছবি। আটক হওয়া যুবকই কি তবে সে? এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত