নির্মাণাধীন চৌহালী রক্ষা বাঁধে ১১ বার ধস

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০১৭, ১৯:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে স্কাউরিংয়ের ফলে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তীর সংরক্ষণ বাঁধে আবারো ৩০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। এ নিয়ে ১১ বার ধসের কবলে পড়লো ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বাঁধ।

২৬ জুলাই (বুধবার) সকালে খাসকাউলিয়া এলাকার মিয়াপাড়া অংশে এই ধস নামে। বাঁধটির নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। বার বার ধসের কারণে এলাকাবাসি আতঙ্ক ও হুমকির মধ্যে পড়ে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

সম্প্রতি বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন ও কেন বার বার ধসের কবলে পড়ছে এ বাঁধ, এছাড়া ধসরোধের করণীয় নির্ধারণ করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ও পাউবোর একটি বিশেজ্ঞ দল সভা করেছে। এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ধস ঠেকাতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে। তারা তীরবর্তীদের আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন।

এর আগে ২ ও ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন ৩, ৭, ১৯, ২০, ২১ ও ২৩ জুলাই এ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে যায়। এছাড়া টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে উপজেলার উত্তরে বোয়ালকান্দি ও দক্ষিণে পাথরাইল পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং যমুনার পশ্চিম পাড় এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে নদী ভাঙন। এ কারণে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফাজিল মাদরাসা, এসবিএম মহিলা কলেজ, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার হুমকির মুখে পড়েছে।

অপর দিকে যমুনার পশ্চিম পাড়ে অব্যাহত ভাঙনে তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ এনায়েতপুর থানা সদরে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, ৮০০ শয্যা খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু তাঁত কারখানা এবং অসংখ্য ঘর-বাড়ি রয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে। এনায়েতপুর এলাকায় এখনো নেওয়া হয়নি ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬শ বসত বাড়ি ও শত শত একর আবাদি জমি।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, নির্মাণাধীন এই বাঁধের নকশায় ত্রুটি থাকার কারণেই বার বার এই বাঁধ ধসের কবলে পড়ছে বলে তাকে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত