বিশাল আয়োজনে বাল্যবিবাহের চেষ্টা!
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৭, ২০:৫২
১০ ছাগল, তিন গরু জবাই করে ১ হাজার ৫০০ লোককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। দাওয়াত পেয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই। কুষ্টিয়া শহরে এ দাওয়াতের উপলক্ষ ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) বিয়ে। ২৮ জুলাই (শুক্রবার) এ বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন মেয়ের বাবা।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা ও কুষ্টিয়া পৌরসভার এক জনপ্রতিনিধি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য বিশাল আয়োজন করেন। পাত্র ছিলেন ওই এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী পারভেজ আহমেদ। প্রতিবেশীদের অনেকেই বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বললেও শোনেননি তিনি। বিয়ের আয়োজনে ব্যাপক তোড়জোড় করেন। দাওয়াত দেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।
২৮ জুলাই (শুক্রবার) শুক্রবার বিয়ের দিন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে হাজির হন ওই বাড়িতে। বাল্যবিবাহ বন্ধের কথা বললে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন জনপ্রতিনিধি। পরে মুচলেকা দিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করতে হয় তাঁকে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আইনগত জটিলতার কারণে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেছেন মেয়ের বাবা।’