গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করায় গণধর্ষণ
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৭, ১৯:৫২
যশোরে গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করায় শারমীন আক্তার নামে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কিশোরী। মামলা করে শারমীনের কথিত স্বামী জনি ও তার সহযোগীদের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
২৮ জুলাই (শুক্রবার) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের মৃত ইয়ার আলীর মেয়ে শারমীন আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করেন। একই সঙ্গে তার সাথে ‘বিয়ের নাটক’ সাজানো, গণধর্ষণ করা তার বন্ধুদের বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে শারমীন নিজেই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তার মা জোহরা খাতুন, চাচাতো ভাই মুস্তাফিজুর রহমান শোভন, মারুফ শেখ, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে একই গ্রামের বজলুর সরদারের ছেলে জনি সরদারের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর শারমীনের গোপনে বিয়ে হয়। এরপর থেকে শারমীন বাবার বাড়িতে থাকলেও তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে শারমীন গর্ভবতী হন। এসময় শারমীন তাকে বাড়িতে তুলে নিতে জনিকে চাপ দেন। কিন্তু জনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ ৭ জুলাই একই এলাকার সাইফার শেখ শারমীনকে জনির নওয়াপাড়া বাজারে ‘আল সেলিম’ হোটেলে আসতে বলেন। সেখানে জনির বন্ধু সাইফার, সুমন, আজিম ও রুবেল তাকে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তারা শারমীনকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে শারমীন অভয়নগর থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা মামলা না নেওয়ায় তিনি ২৫ জুলাই যশোর আদালতে একটি মামলা করেছেন। মামলা করায় জনি ও তার বন্ধুরা শারমীন ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এজন্য তারা বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।