অ্যান্টার্কটিকায় পিরামিড আবিষ্কার
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৩৫
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে কোনো মানুষের বসবাস নেই, এমনটাই জেনে আসছে সবাই। কিন্তু সেই বরফ ঢাকা অ্যান্টার্কটিকায় বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন প্রাচীন কয়েকটি পিরামিড। গুগল আর্থের ইমেজ থেকে দেখা ওই সব পিরামিডের চার কোণা গঠনশৈলীর সঙ্গে মিশরের বিখ্যাত পিরামিডগুলোর অদ্ভুত মিল আছে। এ নিয়ে এখন বিজ্ঞানীদের মাঝে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
অ্যান্টর্কটিকার ওই পিরামিডগুলো বরফে ঢেকে আছে। এগুলো দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক সময় সেখানে নিশ্চয়ই মানুষের বসবাস ছিল।
তিনটি পিরামিডের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা গেছে। সেগুলোর দুটি আছে বরফ ঢাকা মহাদেশটির মূল ভাগে। আর অন্যটির সন্ধান পাওয়া গেছে সমুদ্রের পাশে।
পিরামিডগুলোর আশেপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এক সময় ওই এলাকা এখনকার মতো এত শীতল ছিল না। ২০০৯ এ তেমনই এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টর্কটিকার তাপমাত্রা মাইনাস ফোরটি নাইন ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও এক সময় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
এরপর ২০১২ তে আরেকটি গবেষণায় নেভাদার ডেজার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার লেক ভিদায় ৩২ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। এতে করে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা সম্পর্কে ভিন্ন ধারণার জন্ম নেয় বিজ্ঞানীদের মনে।
কেউ কেউ বলছেন, আজ থেকে কয়েক লাখ বছর আগে অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশ ছিল অনেকটা বর্তমানের নিউজিল্যান্ডের মতো। পৃথিবীর জলবায়ু যে হারে পরিবর্তিত হচ্ছে, অনেক দেশের ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে গবেষণা করে জানা গেছে, সুদূর অতীত থেকেই চলছে তাপমাত্রা ও ইকো সিস্টেমের পালা বদল।
অ্যান্টার্কটিকার লুকানো পিরামিড নিয়ে কয়েক মাস ধরেই গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এখন ধারণা করছেন, অ্যান্টার্কটিকায় এক সময় আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের মতোই মানব সভ্যতা ছিল। অন্তত আড়াই হাজার বছর আগে মিশরে নির্মিত বিশাল পিরামিডগুলো কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল সেটা এক বড় রহস্য। কেউ কেউ মনে করেন সেগুলো তৈরি করা হয়েছে ভিনগ্রহবাসীদের সহায়তায়।
অ্যান্টার্কটিকার পিরামিডগুলো নিয়েও তেমনটাই ভাবছেন অনেক গবেষক। তবে তারা প্রাকৃতিক এক নিয়ম ‘নানাটাক’ এর কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বড় গ্ল্যাসিয়ারের ওপর ভর করে হাজার হাজার বছর ধরে এ ধরনের পিরামিড তৈরি হয়েছে কি না, সেটাও বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা।