ইউটিউব দেখে হোটেল কক্ষে সন্তান প্রসব
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০১৮, ২১:০৭


ইউটিউব দেখে নিজেই নিজের সন্তানকে পৃথিবীতে এনেছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের এই তথ্য জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলের বাসিন্দা টিয়া ফ্রিম্যান (২২) নামের ঐ তরুণী বলেন, মধ্য জানুয়ারিতে গর্ভধারণের বিষয়টি তিনি টের পান। তবুও তিনি জার্মানিতে একটি সফরে যান। কিন্তু ১৪ ঘন্টার এক সফরে সবকিছু পাল্টে যায়। সফরকালীন সময়ে প্রসব বেদনা উঠলেও তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, তার হয়তো ফুড পয়জনিং হয়েছে। ট্রানজিটে তুরস্কে নামার পর থেকে তার বমিও হতে শুরু করে। তখন তিনি গুগলে সার্চ করে লক্ষণগুলো দেখে বুঝতে পারেন যে, তার প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। এসময় তিনি হোটেলে অবস্থান করছিলেন, যেখানে তার সাথে কেউ ছিল না।
এ প্রসঙ্গে টুইটে তিনি বলেন, হোটেল রুমে বসে বুঝতে পারছিলাম যে, আমার প্রসব বেদনা উঠেছে। কিন্তু আমি অন্য একটি দেশে আছি, যেখানে কেউ ইংরেজি বলে না, এখানকার জরুরী নম্বরও জানি না। আমি জানি না কি করা উচিত।
তারপরে তিনি চিকিৎসককে না ডেকে বরং ইউটিউবের সাহায্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হোটেল রুমের বাথটাবটি গরম পানি দিয়ে ভর্তি করে কয়েকটি টাওয়েল কাছে নেন এবং ইন্টারনেট দেখে প্রসবের উপযোগীভাবে বাথটাবে বসেন। এরপর তিনি পেটে চাপ দিতে শুরু করেন।
তিনি বলেন,আমি জীবনে আর কখনো কোন কিছুতে এতো ব্যথা অনুভব করিনি। কিন্তু আমার সন্তানের জন্ম খুব তাড়াতাড়িই হয়ে যায়। এরপর শিশুর সঙ্গে লেগে থাকা অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডটি তিনি নিজেই কেটে ফেলেন। এরপর জুতার ফিতা দিয়ে সেটি আটকে দেন। অবশ্য তার আগে ফিতাটি তিনি গরম পানিতে জীবাণুমুক্ত করে নেন।
পরদিন যখন সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে নিয়ে তিনি পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে যান, তখন বিমানবন্দরের কর্মীরা চমকে যায়। তিনি বলেন,তারা ভেবেছিল আমি মানব পাচারকারী, যে একটি শিশুকে পাচার করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তিনি তা নন, এটা প্রমাণিত হওয়ার পর টার্কিশ এয়ারলাইন্স টিয়া ফ্রিম্যানকে ইস্তানবুলের একটি হোটেলে দুই সপ্তাহ বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। সেখান তার মেডিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে জেভিয়ের। জেভিয়েরের বয়স এখন একমাস। সে আর তার মা, দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন
সূত্র: বিবিসি বাংলা