বিমান ভ্রমণে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০১৭, ২২:২৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

দেশে বা বিদেশে ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল কারণে আমাদের প্রায়ই চড়তে হচ্ছে বিমানে। তবে আকাশপথের এ যাত্রা কিভাবে সহজ এবং সুন্দর করা যায় সে বিষয়ে অনেকেই থাকেন অসেচতন। আর প্রথমবার বিমান ভ্রমণের সময় অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তাই বিমান ভ্রমণে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ রইল-

বুকিংয়ে সঠিক নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করুন
বিমানের টিকিট বুকিং দেয়ার সময় আপনার পুরো নাম ও সঠিক পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করুন। বোর্ডিং কার্ড দেয়ার সময় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ টিকিটের সঙ্গে আপনার পাসপোর্ট মিলিয়ে নেবে। এছাড়া ইমিগ্রেশন বা বহির্গমন বিভাগও দুটি বিষয় মিলিয়ে দেখে আপনাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবে।

সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছান
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কাউন্টারে রিপোর্ট করতে হয়। তাই যানজট ও অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বিমানবন্দর রওনা হওয়া উচিত।

চেকলিস্ট মিলিয়ে নিন
বিমানবন্দর যাত্রার আগে চেকলিস্ট মিলিয়ে দেখে নিন সব কিছু নেয়া হয়েছে কি-না। বিশেষ করে দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, টিকিট, ডলার, ক্রেডিট কার্ড (থেকে থাকলে) নিতে ভুলবেন না।

হাত ব্যাগে লিকুইড রাখবেন না
হাত লাগেজে পণ্য বহনে কিছু বিধিনিষেধ আছে। এতে কোনোভাবেই পানির বোতল, ড্রিংকস, শ্যাম্পু, বডি স্প্রে, পারফিউম বা অন্য কোনো তরল রাখা যাবে না।

সিট হেলানোর আগে সতর্ক থাকুন
আপনার সিটটিকে আরামদায়ক করতে পেছনের দিকে যখন ধাক্কা দেবেন তখন খুব ধীরে কাজটি করবেন। যেন পেছনের আসনের কোনো ব্যক্তির আঘাত না লাগে।

ওয়াশরুম ব্যবহারে যত্নবান হোন
অযথা টয়লেটে বেশি সময় ব্যয় না করাই ভালো। কারণ অন্য যাত্রীর হয়তো জরুরি প্রয়োজন থাকতে পারে।

ট্রানজিটে সময়মতো রিপোর্ট করুন
আপনি হয়তো কোনো দূরদেশে যাচ্ছেন। মাঝখানে কোনো বিমানবন্দরে বিমান বদলাতে (ট্রানজিট) হবে। এ ক্ষেত্রে বিমান থেকে নামার পর দেখে নিন পর্যাপ্ত সময় আছে কিনা। তা না হলে এদিক সেদিক না ঘুরে দ্রুত পরবর্তী বিমানের জন্য কাউন্টারে রিপোর্ট করুন।

সোনামনির প্রথম বিমান ভ্রমণ
সাধারণত শিশুর বয়স ২ সপ্তাহের বেশি হলেই বিমানে ভ্রমণ করা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে শিশুর ঘুমের অথবা রাতের সময়টাকে বেছে নিতে পারেন, যাতে বিমানে ভ্রমণকালীন সময়ে আপনার শিশু ঘুমের মধ্যে থাকে।

বিমান কর্তৃপক্ষ এবং পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের কাছ থেকে উড্ডয়নপূর্ব, বহন করা ব্যাগ এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো সম্পর্কিত বিধি-নিষেধগুলো জেনে নিন।

শিশুর জন্য ছোট একটি ব্যাগে অতিরিক্ত জামা-কাপড়, মোছানোর জন্য টিস্যু, খাদ্য, চুষণি, খেলনা এবং কম্বল আছে কিনা তা নিশ্চিত হন। বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণের সময় বোতল থেকে খাবার পান করান অথবা মুখে একটি চুষনি দিন যাতে অতিরিক্ত শব্দে শিশু অস্বস্তি বোধ না করে। শিশুকে ভ্রমণকালীন সময়ে আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন।

বিমানে কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে এয়ারহোস্টেসকে ডাকুন। তিনিই বিমান ভ্রমণে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাই নির্দ্বিধায় যে কোনো সমস্যায় এয়ারহোস্টেসের শরণাপন্ন হোন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত