আগামীকাল বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন, অনলাইনে মিলবে টিকেট

নতুন বছর ২০১৭ সালের প্রথম থেকেই শুরু হচ্ছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বাণিজ্যমেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে এবারই প্রথম টিকেট পাওয়া যাবে অনলাইনে। সহজ ডটকমের www.shohoz.com মাধ্যমে অনলাইনে আগে থেকে টিকেট কাটতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া আগের মতো মেলার বাইরেও টিকেট সংগ্রহের সুযোগ থাকবে। 

রবিবার (১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলা উদ্বোধন করবেন। তবে উদ্বোধন হতে যাওয়া এ মেলার প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টল তৈরির কাজ এখনো শেষ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে মালার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

এবারের বাণিজ্যমেলার মূল ফটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। রবিবার (১ জানুয়ারি) মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে মেলার পার্শ্ববর্তী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় মেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ সংবাদ সম্মেলন করেন। 

সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াই মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৩০ টাকা। ছোটদের জন্য ২০ টাকা। ৩১ জানুয়ারি মেলার পর্দা নামবে। 

ইপিবি জানায়, এবারের বাণিজ্য মেলায় ২১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে-ভারত, পাকিস্তান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, নেপাল, জাপান, মরক্কো, ভুটান, আরব আমিরাত, মরিশাস ও ঘানা। এবার সব ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, সাধারণ স্টল, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নসহ ৫৬০টি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্য নিয়ে অংশ নেবে।

এবার ৬৪টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১৭টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, ২৮টি ফরেন প্যাভিলিয়ন, ৩৭টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৫টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন, আটটি ফরেন মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৪টি ফরেন প্রিমিয়ার স্টল ও ২৯২টি জেনারেল স্টল রাখা হয়। এ ছাড়া ৮টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ২৪টি খাবারের স্টল ও কয়েকটি রেস্তোরাঁ রাখা হয়েছে।

ইপিবি আরও জানায়, মেলায় প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, শিশুকেন্দ্র এবং অস্থায়ী শিশুপার্ক, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র, মা ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ইকোপার্ক, ফোয়ারা, এটিএম বুথ, ওয়েব পেজ-ই-শপ, ই-পার্ক, ভ্যাট আদায় করতে অস্থায়ী শুল্ক অফিস এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি টিম থাকবে।

পাশাপাশি অগ্নিরোধে বেশ কয়েকটি ফায়ার সার্ভিস টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। আর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হয়েছে।। এছাড়া মেলায় পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ, মহিলা পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি থাকবে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।

বাণিজ্য মেলার সদস্যসচিব রেজাউল করিম বলেন, আশা করছি আজকের (শনিবার) মধ্যে মেলার কাজ শেষ হয়ে যাবে। মেলার ভেতরে মালবাহী ট্রাক ঢোকার কারণে কিছু জায়গার উঁচু-নিচু হয়েছে। তবে উদ্বোধনের আগেই তা ঠিক করা হবে। এ ছাড়া প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।