সেনবাগে জমি বিরোধে সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ আহত ১১

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৫২

জাগরণীয়া ডেস্ক

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।

৯ এপ্রিল (রোববার) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুইটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও দুইটি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ সুমন (৩২), তার ভাই মো. ইদ্রিস ওরফে দুলাল (২৪) ও মো. ইসমাইল (২০), তার মা হোসনে আরা বেগম (৬০), শিশু কন্যা সুবর্ণা আক্তার (১২), আত্মীয় শেখ আহম্মদ (৩০) এবং তাজুল ইসলাম (৪০), মমিনুল হক (৬৫), ছালেহা বেগম (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৫), নূর ইসলাম (২৫)।

আহতদের মধ্যে সুমনকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং বাকীদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ সুমনদের সঙ্গে একই বাড়ির তাজুল ইসলামদের জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলে আসছিল। তাজুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় বিরোধপূর্ণ জায়গা পরিমাপকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়। এসময় সুমনদের দুইটি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর ৩টার দিকে তাজুল ইসলামদের দুইটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও বসতঘর ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত