একঘরে কাতারকে ১৩ শর্ত আরব দেশগুলোর
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৭, ১৭:১০
সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগে একঘরে করে রাখা কাতারকে ১৩ দফা শর্তের একটি তালিকা দিয়েছে আরব রাষ্ট্রগুলো। এতে আলজাজিরা টেলিভিশন বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ আরও কিছু দাবি পূরণের কথা বলা হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের মাধ্যমে এ তালিকা কাতারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে এসব শর্ত মেনে নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে কাতারকে। শর্তের ব্যাপারে কাতারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও নীরব রয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছিলেন, কাতারের প্রতি তার প্রতিবেশীদের দেওয়া শর্ত অবশ্যই ‘যৌক্তিক এবং কার্যকর করার মতো’ হতে হবে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইনের দেওয়া ওই দাবির তালিকায় আরও আছে, কাতারে নির্মিত তুরস্কের সেনাঘাঁটি বন্ধ করা এবং যে সব ব্যক্তিকে তাদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল আরও জানিয়েছে, আরব বিশ্বের ইসলামী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুড, হিজবুল্লাহ, আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গেও সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বলা হয়েছে দেশটিকে। কাতার শর্তগুলো মেনে নিলে প্রথম বছর প্রতি মাসে একবার দেশটির কর্মকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বছরে তিন মাস পরপর এটা করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর বার্ষিকভাবে কাতারকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গত ৫ জুন 'সন্ত্রাসবাদে সমর্থন' দেওয়ার অভিযোগ তুলে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবসহ চার আরব দেশ। এ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয় মালদ্বীপ এবং লিবিয়া ও ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার। তারা কাতারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫৯ ব্যক্তি ও ১২ সংগঠনকে 'সন্ত্রাসী' তালিকাভুক্ত করে। অবশ্য কাতার আগে থেকেই বলে আসছে, এসব সংগঠনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আর এখন শর্ত সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি দেশটি।