কাতারের কাছে আরব দেশগুলোর শর্ত
প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৭, ১৬:১৫
মধ্যপ্রাচ্যে উগ্রবাদী দলগুলোকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে ১৯ জুন (সোমবার) কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী ছয়টি দেশ।
সৌদি আরব এখন কাতারকে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে কিছু শর্ত দিয়েছেন। আর এসব শর্তের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসকে কাতারের সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা দেখতে চাই কাতার উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী প্রচার মাধ্যমগুলোর সমর্থন এবং অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের বিষয়ে কয়েক বছর আগে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়ন করছে। কেউ কাতারকে আঘাত করতে চায় না। এ পদক্ষেপ এজন্য নিতে হয়েছে যে, হয় এদিক হবে না হয় ওদিক। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে এই পদক্ষেপটি নিয়েছি যাতে এটি বোঝা যায় যে এই নীতিগুলি টেকসই নয় এবং পরিবর্তন করতে হবে’, বলছিলেন তিনি।
জুবেইর আরও বলেন, কাতার হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থন করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও মিসর সরকারকে পতনে সাহায্য করছে। আমরা মনে করি না এ নীতিগুলো সঠিক। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য কাতারকে অবশ্যই এ নীতি থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, কাতারের উচিত অবিলম্বে কাজ শুরু করা। তবে তিনি বলেন, সমুদ্র, ভূমি এবং আকাশ অবরোধসহ আরব রাজ্যের গৃহীত পদক্ষেপ দেশটির জন্য যথেষ্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে, ২১ জুন (বুধবার) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের গাজা শাসনকারী দল হামাস জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের এ ধরনের বক্তব্যে মর্মাহত। বিবৃতিতে বলা হয়, জুবেইরের এ ধরনের বক্তব্য ফিলিস্তিনী জনগণ, আরব ও ইসলামী জাতিগুলোর জন্য পীড়াদায়ক।
সূত্র: আল-জাজিরা