তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০১৬, ১৬:৫৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে এবার খুনের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খালাতো বোনকে খুন করে তার মৃতদেহের সঙ্গেই মিলিত হয়েছে এক যুবক। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পুলিশ জানায়, গত ১১ জুন থেকে বসিরহাটের এক তরুণী নিখোঁজ ছিল। ১৬ জুন বাড়ির কাছের পুকুর থেকে তার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে সন্দেহজনকভাবে নিহত তরুণী প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হলেও এরপর নির্দিষ্ট তথ্যে পেয়ে ঘটনার হোতা আরিজুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
শনিবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ইটিন্ডা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, গত ১১ জুন মোবাইল হাতে ছাগল চরাতে গিয়েছিল ওই তরুণী। তখনই আরিজুল তার পিছু নেয়। পাট খেতের মধ্যেই সে নিজের খালাতো বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় ওড়না দিয়েই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আরিজুল। খুনের পরে মৃতদেহ ধর্ষণ করে সে। তারপর বাড়ি ফিরে এসে গোসল, খাওয়া দাওয়া করে ঠাণ্ডা মাথায় শুয়েও পড়েন।
আরিজুলের এই নৃশংসতা অবশ্য এ বারই প্রথম নয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর খানেক আগে তার স্ত্রীকে বাড়ির সামনের মাঠে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। সেই ঘটনায় আরিজুল এখন জামিনে রয়েছে।
খবরে বলা হয়, মৃতদেহের উপরে ধর্ষণ কাণ্ডকে মনস্তত্ত্বের পরিভাষায় নেক্রোফেলিয়া বলা হয়। আরিজুল এ রকম কোনও মনস্তাত্ত্বিক রোগের শিকার কি না, তদন্তকারীরা তাও খতিয়ে দেখছেন।
বসিরহাট থানার পুলিশের বড় কর্তা বলেন, এই ঘটনা আমার দেখা অন্যতম নৃশংস ঘটনা। ওই তরুণীকে খুন করে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের বড় সাফল্য।