ধর্ষণের অভিযোগে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশির ১৭ বছরের জেল
প্রকাশ | ২০ মে ২০১৭, ২০:১৬
সিঙ্গাপুরে দুই বছর আগে এক চীনা নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে এক বাংলাদেশিকে ১৭ বছরের জেল ও ২৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সি বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম প্রামানিক লিটন। ১৯ মে (শুক্রবার) বিচারপতি চু হান তেক এই রায় ঘোষণা করেন। তিন দিনের বিচার কাজ শেষে লিটনকে শাস্তির এ রায় দেন তিনি।
দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের খবরে বলা হয়, লিটন ৩৯ বছর বয়সি ওই নারীকে প্রক্যাশে দিবালোকে ছুরির মুখে অপহরণ ও জঙ্গলে নিয়ে দুইবার জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং একবার জোরপূর্বক ওরাল সেক্স করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এ অপরাধে তাকে ১৭ বছরের জেল ও ২৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বাংলাদেশিকে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়। তার সাজা এদিন থেকে গণনা করা হবে।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়, লিটন ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চাকুর মুখে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে সিঙ্গাপুরের ম্যাকরিচি রিজার্ভ পার্কে নিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি সে ওই নারীকে ওরাল সেক্স করতে বাধ্য করে। পরে এ ঘটনার দুদিন পরে তাকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী যাতে গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সেজন্য লিটন তাকে ওষুধ কেনার জন্য ৫০ ডলার দেয়ার প্রস্তাবও দেয় বলেও জানানো হয়।
বিচারপতি চু হান তেক তিন দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে বলেছেন, লিটনের প্রমাণ ‘অবাস্তব’ ও ‘অস্পষ্ট’।
১৮ মে (বৃহস্পতিবার) আদালতে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন অভিযুক্ত বাংলাদেশি। তিনি দাবি করেছেন, ৪০ বছর বয়সি ওই চীনা নারীকে কেবল তিনি ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
লিটন দোভাষীর মাধ্যমে আদালতকে বলেন, ‘আমি ওই নারীকে ধর্ষণ তো দূরের কথা স্পর্শও করিনি। আমি কেবল চিৎকার চেচামেচা করে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছি। এমনকি তার সঙ্গে কথাও বলিনি। কেবল শব্দ করেছি। আমি কেবল তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সে ভয়েই মারা গেছে।’
সরকার পক্ষের আইনজীবী ডিপুটি পাবলিক প্রোসিকিউটার স্টিলা তান জানান, ভুক্তভোগী কখনই মারা যায়নি। কেননা সে ১৭ মে (বুধবার) আদালতে হাজির হয়ে মামলার স্বাক্ষী দিয়েছে।
এদিকে, ডিএনএ পরীক্ষায় ভুক্তভোগীর মুখে ও যৌনাঙ্গে এবং তার পাজামায় লিটনের বীর্য পাওয়া গেছে। তার শরীরে সঙ্গে লিটনের শরীর কার্যকরভাবে স্থাপন করা হয়েছে এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে। যদিও লিটন এসব অস্বীকার করেন।