হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে ‘তিন তালাক’
প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৫৬
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়ে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছেন এক ব্যক্তি। তিন তালাক নিয়ে ভারতে চলমান বিতর্কের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।
ওই নারীর নাম বদর ইব্রাহিম। তিনি এমবিএর শিক্ষার্থী। আর বর হলেন সৌদি আরব প্রবাসী মোদাসসির আহমেদ খান। তিনি রিয়াদের একটি ব্যাংকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।
এর আগে মোদাসিসের পরিবারের কাছ গেলে তারা বদরকে বলে, ‘আশা করি তুমি একজন ভালো স্বামী পাবে।’
হোয়াটসঅ্যাপে তালাক পেয়ে বদর প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। গতকাল বুধবার তিনি ভারতের হায়দরাবাদ পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ফেরুয়ারিতে দুজন বিয়ে করেন। ভারতে ২০ দিনের জন্য এসে বিয়ে সেরে মোদাসসির সৌদিতে ফিরে যান।
বদর ইব্রাহিম বলেন, গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের যোগাযোগ ছিল। তিনি শ্বশুরবাড়িতে গেলে তারা ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শ্বশুর বলেন, ‘আমার ছেলে তোমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেছে। আর ওই বিয়ে ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত।’ এর কয়েকদিন পরে বদর হোয়াটসঅ্যাপে তালাক এবং বিবাহবিচ্ছেদের আইনি নোটিশ পান।
তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী জানান, সরকারে উচিত তিন তালাকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। আর আদালতের উচিত এ সংক্রান্ত মামলায় জামিন না দেওয়া।
হায়দরাবাদে সাম্প্রতিক কিছু মামলায় দেখা যায়, পুরুষরা মোবাইল ফোনে বার্তা, এমনকি পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও স্ত্রীকে তালাক দেন।
আর তিন তালাকের বিধানটা শুধু মুসলিম পুরুষদের জন্য। তারা তাৎক্ষণিকভাবে তিনটা শব্দ ব্যবহার করে তালাক দেয়। অবশ্য মোবাইল ফোনে মাধ্যমে তালাক পাওয়া কিছু নারী এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
মোবাইল ফোনে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় আদালতের বক্তব্য হলো, এভাবে তালাক দিলে নারীরা সমাজের হেয় প্রতিপন্ন হয়। সংবিধানে মুসলিম নারীদের যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটাও অস্বীকার করা হয়।
সম্প্রতি ভারতের নরেন্দ্র মোদি এক জনসভায় বলেন, তিন তালাকের ব্যাপারে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থান। এ ব্যাপারে আপস করা হবে না
সূত্র: এনডিটিভি