ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!
প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৬, ১৫:৪৩ | আপডেট: ২০ জুন ২০১৬, ১৫:৫১
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন জিম্বাবুয়ে সফর করছে এম এস ধোনির ভারত দল। এরই মধ্যে একজন জিম্বাবুয়ে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভারতীয়র বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে শুক্রবার হারারেতে গ্রেপ্তার করেছে জিম্বাবুয়ে পুলিশ। কিন্তু তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি ঐ ব্যক্তি ক্রিকেটার নাকি কর্মকর্তা সেটাও প্রকাশ করা হয়নি।
হারারের মেইকলেস হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ওই নারীর অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ভারতীয় ক্রিকেটারের রুমে তার জ্ঞান ফেরে। তবে ওখানে কিভাবে গেছেন সেই ব্যাপারে কিছুই মনে নেই তার।
হোটেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঐ নারী হোটেলের লবিতে ঘোরাফেরা করছিলেন। এরপরই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। হোটেল সূত্র জানিয়েছে, হারারে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তি নিশ্চিতভাবেই একজন ভারতীয়। তারা আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মেইকেলস হোটেলে ভারতীয় ক্রিকেট দল ছাড়া আর কোনো ভারতীয় নেই।
গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন হারারের সহকারী পুলিশ কমিশনার চ্যারিটি শারাম্বা। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি তিনি, ‘আইন দিয়ে আমাদের হাত-পা বাঁধা। আমি এই মুহূর্তে জানাতে পারছি না আটক হওয়া ব্যক্তি কর্মকর্তা না খেলোয়াড়।’
এদিকে মেইকলেস হোটেলে আছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন পুরো ব্যাপারটির দেখভাল করছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড ও ভারতীয়রাও এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন।
তবে পুলিশ কর্মকর্তা চ্যারিটি বলেছেন, "ভিকটিম একজন ভারতীয়র কথা জানিয়েছে। আমি আইনে বাঁধা। তাই এই মুহূর্তে জানাতে পারছি না সে ভারতীয় খেলোয়াড় না কর্মকর্তা। তবে এটুকু বলতে পারি যে অভিযুক্তকে শনিবার আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ তাদের তদন্ত শেষ করেছে। এখন আদালত বিষয়টা দেখছে। বিষয়টি কূটনৈতিক পর্যায়ে আছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এর সুরাহা করতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। তারা দেশটির প্রভাবশালী লোকজনের সাথে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন অভিযোগ আনা ওই নারীর সঙ্গেও"।
জিম্বাবুয়ের ওয়েবপোর্টাল নিউ জিম্বাবুয়ের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সেই ব্যক্তি একজন ভারতীয় ক্রিকেটার।
তবে বার্তা সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাতে বলেছে, ক্রিকেটার বা ক্রিকেট দলের কেউ নয়; তিনি এই সিরিজের স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির কর্মকর্তা।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, ‘ক্রিকেটারকে জড়িয়ে যে খবর বেরিয়েছে, সেটি মিথ্যা। এর সঙ্গে কোনো ক্রিকেটার জড়িত নন। স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ডিএনএ টেস্ট দিতেও রাজি আছেন তিনি’।