'মমতাকে জানিয়েই তিস্তা চুক্তি হবে'
প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৭, ১৪:০৯ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭, ১৪:১৪
বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিস্তা চুক্তি হবার সম্ভাবনা ও এ নিয়ে কিছুই না জানার উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বক্তব্যের পর তাকে আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি সই করার আগে তার সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বোগলে মমতাকে আশ্বস্ত করে বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে পশ্চিমবঙ্গসহ তিস্তা বিষয়ক সব অংশীদারের সঙ্গেই আলোচনা করা হবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফেডারেল শাসন ব্যবস্থার চেতনা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে সবার সঙ্গেই আলোচনা করবে।”
তবে কখন ও কী প্রক্রিয়ায় এ আলোচনা হবে, তা স্পষ্ট করেননি বোগলে।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনেই শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতাকে বসাতে চান মোদী।
এর পর বৃহস্পতিবার এক টিভি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, তাকে এসব বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
মমতা বলেন, “আমি তো শুনছি ২৫ মে নাকি বাংলাদেশে গিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে। অথচ আমি এখনও কিচ্ছু জানি না।”
এ ধরনের যে কোনো চুক্তির আগে রাজ্যের স্বার্থকে বিবেচনায় নিতে হবে মন্তব্য করে তৃণমূলপ্রধান বলেন, “তোমরা যদি সবকিছু রেডি করে আমাকে বলো স্ট্যাম্প মারার জন্য, স্যরি! আমাকে রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে যতটা হেল্প করার আমি করব, তবে রাজ্যকে বাঁচিয়ে।”
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে সেবার তা আটকে যায়।
এরপর বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০১৫ সালে ঢাকা সফরে এলেও সেই জট খোলেনি। আশ্বাস দিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে ঝুলছে এই চুক্তি।
আগামী ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় এসেছে এই চুক্তি। তার এই সফরে ভারতের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা থাকলেও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, এই সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা অনিশ্চিত।
তবে মমতার বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শেখ হাসিনার সফরে চুক্তি না হলেও তিস্তা নিয়ে ফয়সালা চূড়ান্ত হতে পারে।