রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের সুপারিশ আনান কমিশনের
প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫১ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭, ১৪:৫২
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের কমিশন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের উপদ্রুত এলাকায় অবাধে যেতে দেওয়ার প্রস্তাব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন বিশেষ কমিশন যখন তাদের অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে তখনও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করেছে। সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা এসব শরনার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে এসব ক্যাম্প বন্ধের সুপারিশ করেছে কমিশন।
বাংলাদেশের সীমান্তের লাগোয়া রাখাইনের সব জনগোষ্ঠীর অবস্থা, সেখানকার সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি এবং উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার কারণ খুঁজে নিয়ে তা বিশ্লেষণের জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আং সান সুচি ওই কমিশন গঠন করেন। কফি আনানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ওই কমিশনের ছয়জন মিয়ানমারের বিশিষ্ট নাগরিক।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান প্রতিবেদনের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখন সময় হয়েছে শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার। আর সেই সঙ্গে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার।
রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিতে দেশটির সরকারের কাছে একটি সমন্বিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রতিবেদনে রাখা হয়।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আই আই সোয়ে বলেছেন যে, সরকার এই কমিশনের প্রতিবেদনটি দেখেছে এবং শিগগির এ বিষয়ে তাদের জবাব দেবে। যদিও মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সুচির মতে বেশিরভাগ সুপারিশই বাস্তবায়নের পথে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রথম বৌদ্ধদের সাথে সংহিসতায় সংখ্যালঘু বহু মুসলিম রোহিঙ্গা নিহত এবং ঘরছাড়া হয়। এরপর গতবছর অক্টোবরে নয়জন বর্ডার গার্ড পুলিশ নিহতের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের ওপর দমন নিপীড়ন চালায় দেশটির সরকারি বাহিনী।
সূত্র : বিবিসি