হেরে গেলেন লৌহমানবী, লড়বেন আবারও
প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০১৭, ১৮:৪৬ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৯
হেরে গেলেন মানবাধিকারকর্মী ও লৌহমানবী ইরম শর্মিলা চানু। ভারতের মণিপুর রাজ্যের থাউবাল আসনে বিপুল ভোটে মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংয়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং ১৫ হাজার বেশি ভোটে জিতেছেন। আর শর্মিলা পেয়েছেন মাত্র ৫১ ভোট। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবার লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শর্মিলার দল পিআরজেএকে (পিপলস রিসার্জেন্স অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স) সমর্থন দিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তবে জনগণের সমর্থন তেমন পাননি তিনি।
মণিপুরে ভোট গণনার আগে শর্মিলা বলেন, যদি হেরে যান, তাহলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবার লড়বেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফলাফল নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। সবাই জানে পেশিশক্তি এবং টাকা ছড়ানো হয়েছে খোলাখুলিভাবে।’
শর্মিলা আরও বলেন, থাউবাল এলাকার বাসিন্দারা তার সিদ্ধান্তে খুশি। তারা পরিবর্তন চান। খুরাই আসনেও লড়ছেন শর্মিলা। এর ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
২০০০ সালের ২ নভেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের কাছের একটি গ্রামে ১০ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন কিশোরও ছিল। এই মৃত্যু শর্মিলাকে প্রচণ্ড নাড়া দেয়।
মণিপুরের জন্য সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন শর্মিলা। নেমে পড়েন আন্দোলনে। শুরু করেন অনশন। তার একটাই দাবি, আফস্পা প্রত্যাহার করতে হবে। শর্মিলার অনশন ভাঙাতে রাষ্ট্রশক্তিও কম চেষ্টা করেনি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু টলানো যায়নি তার জেদকে।
টানা ১৬ বছর অনশনের পর গত বছরের ২৬ জুলাই তিনি ইম্ফল পশ্চিমের মুখ্য জেলা বিচারক এল টনসিংকে কথা দেন, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তিনি অনশন ভাঙবেন। কথামতো ওই বছরের ৯ আগস্ট অনশন ভাঙেন ৪২ বছরের সাহসী নারী। নিজ হাতে পান করেন মধু। আদালত এদিনই তার জামিন মঞ্জুর করেন।