নেপালে গর্ভধারণের ৫০ শতাংশই অপ্রত্যাশিত
প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৯:২৯
সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিয়ের আগে গর্ভধারণ নিয়ে নারীদেরকে সামাজিক সমস্যা পোহাতে হয়। তার বড় কারণ হচ্ছে সমাজ বা নিজের পরিবারের সদস্যরা এটা মেনে নিতে চাননা। সে কারণেই অনেক নারীই গর্ভপাতের আশ্রয় নেয়। আর এই জটিল কাজটি তারা খুব কমই অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সেরে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ ক্লিনিকে অল্প বিদ্যার লোকজনের হাতে গর্ভপাত হয়, যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ ধরনের ঘটনা যেসব দেশে বেশি ঘটে থাকে, তার মধ্যে নেপাল অন্যতম।
বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, নেপালে মোট গর্ভধারণের মধ্যে ৫০ শতাংশই অপ্রত্যাশিত আর সে কারণে সেখানে গর্ভপাতের সংখ্যাও অনেক বেশি। আবার নিরাপদ গর্ভপাতের ব্যবস্থাও সেখানে অপ্রতুল আর সেকারণেই দেশটিতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা নিরাপদ গর্ভপাতে সহায়তায় কাজ করছে। কিন্তু এসব সংস্থাগুলোই এখন তাদের অর্থের বড় অংশ হারানোর পথে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র গর্ভপাতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কোনো অর্থ সাহায্য দিতে পারবে না। এমনকি গর্ভপাত একটি বিকল্প এটি তারা কোনো নারীকে বলতেও পারবে না।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ম্যারি স্টোপসের কর্মকর্তা সোফি হোডার জানান, বাস্তবতা হলো অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেওয়ায় যেসব নারীরা পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ পাচ্ছিলো না, তাদের জীবনের কোন পর্যায়ে হয়তো গর্ভপাতের প্রয়োজন হতে পারে।
জানা যায়, নেপালে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছিলো পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিগুলোতে, যেগুলো নানা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা পরিচালনা করছে। কিন্তু বর্তমানে এই সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূত্র : বিবিসি