স্ত্রীকেও মারধর করতেন হামলাকারী মতিন (ভিডিও)
প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৬, ১৭:৩৬ | আপডেট: ১৩ জুন ২০১৬, ১৭:৪৩
ফ্লোরিডায় সমকামীদের নৈশক্লাবে গুলি চালিয়ে অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যার জন্য ২৯ বছর বয়সী যে যুবককে দায়ী করা হচ্ছে, সেই ওমর মতিন তার স্ত্রীকেও মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী।
২০০৮ সালে ইন্টারনেটে সামজিক যোগাযোগের মাধ্যম মাইস্পেসে ওমর মতিনের সঙ্গে সিতোরা ইউসুফির পরিচয় হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করেন তারা। কিন্তু সেই সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
সিতোরা ইউসুফি ওয়াশিংটন পোস্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিয়ের পর ফোর্ট পিয়ার্সে মতিনের পরিবারের মালিকানাধীন দুই বেডের এক ফ্ল্যাটে উঠলাম আমরা। প্রথমদিকে সব বেশ স্বাভাবিকই ছিল, কিন্তু এরপর সে ধীরে ধীরে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠল”।
ইউসুফি বলেন, সেসব দিনে মতিনের মধ্যে দ্বৈত মানসিকতার তীব্র লক্ষণ তিনি দেখেছেন। হাসিখুশি, আনন্দে মেতে থাকার মুহূর্তেই হঠাৎ মতিনের মধ্যে তৈরি হত রাগ, তিনি হয়ে উঠতে মারমুখো। বাবা-মায়ের সঙ্গেও প্রায়ই ঝগড়া হত তার।
“সে আমাকে মারতো। কেন লন্ড্রি শেষ হয়নি, এরকম ছুঁতো ধরেও আমার উপর চড়াও হত।”
মতিন তখন তার বাড়ির কাছাকাছি একটি কিশোর সংশোধনাগারে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বলে জানান ইউসুফি। কিন্তু তখন তাকে কখনোই ‘কট্টর’ মুসলিম দর্শনে বিশ্বাসী বলে মনে হয়নি বলে ইউসুফি জানান।
তিনি বলেন, “মতিন তেমন ধার্মিক ছিল না। প্রায়ই জিম করতে যেত।”
ইউসুফির উপর মতিনের নির্যাতনের খবর জানার পর ইউসুফিকে ফোর্ট পিয়ার্স থেকে নিয়ে যান তার বাবা-মা। “তারা আক্ষরিক অর্থে আমার জীবন বাঁচিয়েছিলেন,” বলেন ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী।
সিতোরা জানান, মাত্র ৪ মাসের সংসারের পরেই ছাড়াছড়ি হয় তাদের। এরপর মতিন বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তিনি সুযোগ দেননি।