কারাগারে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না শশিকলা
প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩৬
বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা না, বরং সাধারণ কয়েদির মতোই কারাগারে থাকতে হবে তামিলনাডুর ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকের দলনেত্রী ভিকে শশিকলাকে। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যেসব সুযোগ-সুবিধা তিনি চেয়েছিলেন, তার কোনোটিই তিনি পাননি বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
আত্মসমর্পণের পর বুধবার সন্ধ্যায় কিছুটা হেঁটে বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রাহারা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন ৯২৩৪ নম্বর কয়েদি শশিকলা। প্রথম রাতটি মেঝেতে ঘুমিয়েই কাটাতে হয়েছে তাকে। তবে ৬১ বছর বয়সী এই নেত্রীর শোবার জন্য একটি খাটিয়া দেওয়া হবে কিনা তা বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত দিবেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে কারাগারে তাকে প্রথম শ্রেণির সেল দেওয়ার জন্য বিচারকের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কারাগারে প্রথম শ্রেণির সেলে ব্যক্তিগত টেলিভিশন, বাড়িতে তৈরি খাবার এবং সপ্তাহে দুইবার আমিষ জাতীয় খাবারের বরাদ্দ থাকে, কিন্তু তার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়।
কয়েদখানার সঙ্গী হিসেবে একই মামলায় দণ্ডিত বৌদি ইলাভারাসিকে চেয়েছিলেন, কিন্তু পেয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু কারো একজনের সঙ্গে যে সেলটি শেয়ার করতে হচ্ছে সেটি নিশ্চিত।
ধ্যান করার জায়গা ও দরকার হলে প্রতি ঘন্টায় চিকিৎসা সহায়তা পাওয়ারও আবেদন করেছিলেন তিনি।
কিন্তু বুধবার এক কারা কর্মকর্তা বলেছেন, “বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না শশিকলা। সর্বোচ্চ যা পাবেন তা হল, কারাগারে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শের সুযোগ।”
কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে নাস্তা হিসেবে ভাত ও তেঁতুল চাটনি খেয়েছেন তিনি। তিনি ‘কয়েক মিনিট ধ্যানও করেছেন’ বলে জানিয়েছেন তারা।
কারাগারে শশিকলাকে মোমবাতি নির্মাণের কাজে লাগানো হতে পারে বলে খবর বেড়িয়েছে, তবে সেসবের সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তবে কারাগারে গেলেও দলের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ আগেই সংহত করে নিয়েছেন তিনি। নিজের অনুগত ইদাপ্পাদি পালানিস্বামীকে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মনোনীত করেছেন এবং ২০১১ সালে জয়ললিতার মাধ্যমে বহিস্কৃত নিজের দুই ভাইপোকেও পুনরায় দলে নিয়েছেন।
আর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শশিকলার অনুগত পালানিস্বামীকেই সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন তামিলনাডুর রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও।
উল্লেখ্য, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন তামিলনাডুর প্রিয় ‘আম্মা’ প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ারাম জয়ললিতার কাছের মানুষ শশিকলা। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে সুপ্রিম কোর্টের দণ্ড নিয়ে বুধবার থেকে চার বছরের কারাবাসের মেয়াদ শুরু করেছেন তিনি।
এর আগে ২০১৪ সালে একই কারাগারে জয়ললিতার সঙ্গে তিন সপ্তাহ ছিলেন শশিকলা। ওই সময়ও বৈধ আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন তারা।