জলপাইগুড়িতে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:১৪
জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার অন্তর্গত বোদাগঞ্জ এলাকায় এক আদিবাসী নারীর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত ঐ নারীর নাম মিনা ওরাও (৪০)। তিনি বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভান্ডিরগুড়ি চা বাগানের চেলি লাইনের নন্দন ওরাও-এর স্ত্রী। তিনি আগে ভান্ডিরগুড়ি চা বাগানে কাজ করতেন। পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাকে। জলপাইগুড়ির ডিএসপি মানবেন্দ্র দাস এর নেতৃত্বে ঐ এলাকায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
মিনা ওরাও’র পরিবার সূত্রে জানাগেছে, মিনা ওরাও ৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সকালে কাজের মজুরির টাকা আনতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভোগলাভিটা গ্রামের পাশে এক মাঠে মিনা ওরাও-এর মৃতদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। মৃতদেহর পাশেই পোশাকের টুকরো, চাঁদর, চপ্পল ও বাজারের ব্যাগ পড়েছিল।
মিনা ওরাও’র স্বামী ছাড়াও দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মিনা ওরাও-এর ছেলে স্বপন ওরাও জানান, রবিবার ওই এলাকারই মেচপাড়ার জনৈক ব্যক্তির কাছে পাওনা মজুরির টাকা আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন দুপুরে পাশের গ্রামের ফাকা মাঠ থেকে বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত রায় এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ দাস বলেন, মৃতদেহ দেখে অনুমান ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে। তাই পুলিশের কাছে সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাবেন।
সূত্র: কলকাতা২৪