মেলানিয়াও অভিবাসন নীতির বিপাকে
প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৮
ট্রাম্পের ঘোষিত অভিবাসন নীতি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। মেলানিয়ার অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশের জন্য হোয়াইট হাউসের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর ন্যান্সি স্কিনার।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যভবনে রাজ্য সিনেটের নেতা টেম কেভিন ডি লিও এবং স্পিকার অ্যান্থনি রেনডনের উপস্থিতিতেই ন্যান্সি এই দাবি তোলেন।
মার্কিন পত্রিকা পলিটিকোর খবরে বলা হয়, গত বছরের নভেম্বরে বার্তা সংস্থা এপির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে মেলানিয়া ট্রাম্পের অভিবাসনের সপক্ষে পর্যাপ্ত নথিপত্র নেই। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে মেলানিয়া মাতৃভূমি স্লোভেনিয়া ছেড়ে মডেল হিসেবে আমেরিকায় এসেছিলেন। এর জন্য তাকে কর্মী হিসেবে ভিসা নিতে হয়েছিল। কিন্তু তার ভিসা যথাযথ ছিল না।
পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কিনার বলেন, ‘ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মেলানিয়ার এমন কোনো নথি প্রকাশ করা হয়নি যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে মেলানিয়া কী অবস্থায় ছিলেন বা আদৌ তার কাজ করার মতো পূর্ণ বৈধতা ছিল কিনা। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি পলিটিকো।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তাতে বলা হয়েছে, কোনো অভিবাসী প্রতারণা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিওপোল্ড বলেন, ‘এটাই তাদের জন্য ভালো হবে যে তারা মেলানিয়ার ফাইল সবার সামনে প্রকাশ করে দিক, যেন আমরা জানতে পারি যে তার (ট্রাম্প) পরিবারও অভিবাসনের আইন মেনেই চলেছে। ’
আলামেডা কাউন্টির রিপাবলিকান প্রধান সু ক্যারো অবশ্য ক্ষুব্ধ স্কিনারের দাবির ঘটনায়। তিনি এই দাবিতে ‘আবর্জনা’ অভিহিত করে টুইটও করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ট্রাম্পের সই করা ওই আদেশে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া চার মাসের জন্য সব ধরনের শরণার্থী এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ান শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত কয়েকটি রাজ্যেও তিনি বরাদ্দ কমিয়ে দেন।