৩ রুপিতে দুপুরে খাওয়াতেন জয়ললিতা
প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:১৯ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:৪৭
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর খবর শুনেই গত দুইদিনে ৭০ জন মারা গেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় পত্রিকা। কি এমন ভালোবাসার সম্মোহনী ক্ষমতা ছিলো তামিলনাড়ুর এই ‘আম্মা’র? এই প্রশ্নের কিছুটা উত্তরের আভাস পাওয়া যায় সাম্প্রতিক এক ঘটনায়।
জয়ললিতাকে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর দেওয়া ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
সকালে দেওয়া ফেসবুক পোস্টটি এক দিনের মাথায় ৩০ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে জয়ললিতার জীবন বদলে দেওয়া একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে গত সোমবার মারা যান জয়ললিতা। পরদিন চেন্নাই শহরের মেরিনা বিচে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
শিল্পগোষ্ঠী টাটার সাবেক কর্মকর্তা ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থী চারণ্য কানন মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে ১৯৮৯ সালে তামিলনাড়ু রাজ্য বিধানসভায় জয়ললিতাকে অপদস্থ করার ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘জয়ললিতার পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল এবং তাঁর চুল ধরে টানা হয়েছিল। সম্ভবত ভারতের রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে কোনো নারী রাজনীতিককে এমন অপদস্থ হতে হয়নি।’
চারণ্য কানন বলেছেন, এরপরও জয়ললিতা পিছু হটেননি। ছিলেন নিজ লক্ষ্যে অটল। ওই ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানোর ক্ষেত্রে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। ওই ঘটনার পর জয়ললিতা নিজেকে আরও বেশি করে কাপড়ে আবৃত করে রাখতে শুরু করেন। স্বর্ণালংকার পরা একেবারেই ছেড়ে দেন। চলচ্চিত্রের একসময়ের যৌন আবেদনময়ী ভাবমূর্তি পেছনে ফেলে শ্রদ্ধেয় ‘আম্মা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী জয়ললিতা ছয়বার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ‘আম্মা’ ক্যানটিনে ৩ রুপিতে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা এবং জনগণের কল্যাণে নেওয়া তার নতুন নতুন স্কিমের কারণেই লোকে তাকে ‘আম্মা’ ডাকা শুরু করেন। জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন অভিনয়শিল্পী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া জয়ললিতা। ১৯৬১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ১৪০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। রুপালি পর্দা ছেড়ে রাজনীতিতে নামার পর উপাধি পান ‘পুরাচ্চি থালাইভি’। অর্থাৎ, ‘বিপ্লবী নেতা’।