রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারে মালয়েশিয়ার প্রতিক্রিয়া
প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৬ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:১৩
রোহিঙ্গাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মালয়েশিয়া। মিয়ানমারের এসব চালানো নির্যাতনকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতি নির্মূল করে দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।
আগামীকাল রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মালয়েশিয়ায় সংহতি র্যালি হওয়ার কথা রয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। একটি আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক মিয়ানমার। এ কারণে মালয়েশিয়া সেই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
মিয়ানমার শুক্রবার বলেছে, মালয়েশিয়ার উচিত অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। আসিয়ানভুক্ত সদস্য দেশগুলোর নীতি হলো কোনো সদস্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। এ নীতিটি মালয়েশিয়ার অনুসরণ করা উচিত।
মিয়ানমারের এ কথার জবাবে আজ শনিবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো নির্যাতনকে মালয়েশিয়া ‘এথনিক ক্লিনজিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে হয়েছে, এথনিক ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ করে একটি জাতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই চর্চা বন্ধ হতেই হবে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এই নির্যাতন বন্ধ হতেই হবে।
উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া ক্রমাগতভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের সমালোচনা করে আসছে। এতে জড়িত সেদেশের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। এই নির্যাতনের কারণে শত শত মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রভাব পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কিছু দেশে। এতে সব দেশই নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করছে।
এ নিয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মালয়েশিয়া ও পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোতে অধিক সংখ্যায় রোহিঙ্গার কারণে এটি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।