ভয়াবহ দাবানলে হুমকির মুখে হাইফাবাসী
প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৫১ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৫
ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা এখন হুমকির মুখে। সপ্তাহকাল ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলের ফলে এই চরম বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। দাবানলটি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেয়ে শহরটির বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় শুরু হওয়া এই দাবানল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই দাবানলের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
বিবিসি জানিয়েছে, টানা দুই মাসের খরা ও প্রবল বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দাবানল থেকে বাঁচতে হাইফা শহর থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে প্রায় ৮০ হাজার লোক পালিয়েছে। আগুনে কেউ মারা না গেলেও ছোটখাটো আঘাতের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১৩০ জন। এদের অধিকাংশই অবশ্য ধোঁয়ায় শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছিল। শহরের স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও কারাগারগুলো খালি করে ফেলা হয়েছে। শহরের দক্ষিণে জেরুজালেম ও তেল আবিব সংযোগ মহাসড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগুন ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের দিকে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার একটি স্কুল থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের কট্টরপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নেফতালি বেন্নেত দাবি করেছেন, আরব অথবা ফিলিস্তিনিরা এই দাবানলের পেছনে দায়ী। তিনি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন ‘ইসরায়েলকে যারা নিজেদের দেশ বলে মনে করে না, ইসরায়েলকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অপকর্ম কেবল তাদের পক্ষেই সম্ভব।’
জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জিলাড এরদান চ্যানেল ১০ নামে একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ১০জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ কিছু এলাকায় দাহ্য বস্তু ও তরল জ্বালানি পাওয়া গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, যে বা যারাই ইসরায়েলি রাষ্ট্রের একাংশকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে তাদেরকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের এ ধরণের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ আমাদের গাছ ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ভূমি পুড়ছে।’