৬ ইরাকিকে নির্যাতন করে হত্যা

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৪৪ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০৫

অনলাইন ডেস্ক

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যোগাযোগ আছে সন্দেহে ইরাকের দুটি এলাকায় কমপক্ষে ছয়জনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গায়ে ইরাকি পুলিশের পোশাক ছিল।

অক্টোবরে ইরাকের শুরা ও কায়েরাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অ্যামনেস্টির এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইরাক সরকার। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানায়, গত মাসের ২১ তারিখে নুস তাল এলাকা থেকে ১০ জন পুরুষ ও ১৬ বছর বয়সী এক বালককে আটক করে  ইরাকি পুলিশের পোশাক পরা একদল ব্যক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকায় আরো সেনা যান। পরে আটক ব্যক্তিদের শুরা ও কায়েরাহ উপজেলার মধ্যবর্তী এক মরুভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। 

আইএসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের ঘুষি ও লাথি মারা হয়। এ ছাড়া তাঁদের দড়ি ও বন্দুকের বাঁট দিয়েও পেটানো হয়।

আটক ব্যক্তিদের দাড়ি ধরে টানাটানি করে বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে একজনের দাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁদের দুই পায়ের মাঝে গুলি করা হয়। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভাষ্য,  তিনজনকে আলাদা করে নিয়ে পাশবিক অত্যাচার করা হয়। পরে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। পাঁচ দিন পর ওই তিন ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়।  

এক সপ্তাহ পর আরেক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। লাশের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। এ ছাড়া অক্টোবরের ২১ তারিখে আরো দুজনের লাশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।   

অ্যামনেস্টির লেবাননের বৈরুত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (গবেষণা) লেইন ম্যালউফ বলেন, ‘মসুল অভিযান শুরুর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা সহ্য করা হবে না। এখন সময় এসেছে, সেটা প্রমাণ করে দেখানোর।’
  
অক্টোবরে আইএসের দখল থেকে মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য এক বিশেষ অভিযান চালায় ইরাকি সরকার। তিন সপ্তাহব্যাপী এ অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য।