‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যগুলোতে কে এগিয়ে?
প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৩৮ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ২১:২৪
আর মাত্র একদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রথম থেকে এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যেগুলোর মধ্যে অধিকাংশের রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি আছে, এসব অঙ্গরাজ্যগুলোতে সাধারণত যে দলের প্রভাব বেশি সেই দলের প্রার্থীই বিজয়ী হন।
যেমন, সাধারণত টেক্সাসকে রিপাবলিকান প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য ধরা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় রিপাবলিকান প্রার্থী টেক্সাসে প্রচারণা চালিয়ে তার অর্থের অপচয় করেন না, তিনি এখানে জিতবেন বলেই ধরে নেন।
অপরদিকে, ক্যালিফোর্নিয়াকে ডেমোক্রেট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এখানে এ দলটির প্রার্থীই জিতবেন বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে এ ধরনের অঙ্গরাজ্যগুলো ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে কোনো দলেরই সুস্পষ্ট প্রাধান্য নেই, এসব অঙ্গরাজ্যগুলোকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা প্রচলিত কথায় ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অতীতের নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা যে প্রার্থীর দিকে ঝুঁকে পড়েন, সেই প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ১৩টি অঙ্গরাজ্যকে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে শনাক্ত করেছে বিবিসি। এসব অঙ্গরাজ্যগুলো হল, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, মিশিগান, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন।
৬ নভেম্বরের সর্বশেষ জরিপানুযায়ী এসব রাজ্যগুলোর মধ্যে সাতটিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ও ছয়টিতে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি এগিয়ে আছেন।
ট্রাম্প এগিয়ে আছেন- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, আইওয়া, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ওহাইওতে। অপরদিকে হিলারি এগিয়ে আছেন- কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিনে।
তবে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সংখ্যার হিসেবে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও হিলারির এগিয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটার সংখ্যা বেশি, তাই এসব রাজ্যগুলোতে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যাও বেশি।
রবিবারের (৬ নভেম্বর) এ চিত্র মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর), ভোটের দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে এবং দুই প্রার্থী সারা দেশজুড়ে যে যে অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন, সেখানে বিজয়ী হলে, হিলারি ক্লিনটনই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।