হিলারির ই-মেইলে কিছু পাওয়া যায়নি : এফবিআই
প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪২
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নতুন ই-মেইল তদন্ত করে বেআইনি কিছু পাওয়া যায়নি বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি রবিবার (০৬ নভেম্বর) লেখা এক চিঠিতে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি এ কথা বলেছেন। নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে এফবিআই–প্রধান এ ঘোষণা দিলেন।
চিঠিতে জেমস কোমি বলেন, হিলারির বিরুদ্ধে মামলা না করার বিষয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছিল, এফবিআই তা থেকে সরে আসছে না। নতুন পাওয়া ই-মেইলগুলো তদন্ত করতে সংস্থাটি ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটনের কাছে আসা এবং তাঁর পাঠানো সব ই–মেইল আমরা তদন্ত করেছি। গত জুলাইয়ে হিলারির বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত আমরা পরিবর্তন করছি না।
জুলাইতে এফবিআই প্রধান কোমি বলেছিলেন, ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে স্পর্শকাতর জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রে অসতর্ক থাকলেও তিনি কোনো অপরাধ করেননি।
হিলারির প্রচারণা শিবিরের যোগাযোগ পরিচালক জেনিফার পালমিয়েরি কোমির এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তদন্তে তিনি যা পেয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। আমরা এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তিনি তদন্ত করে এটাই পাবেন। আমরা খুশি যে এ বিষয়ের একটি সুরাহা হয়েছে।
তবে এতে অখুশি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। ট্রাম্পের এক পরামর্শক নিউট গিংরিচ টুইট বার্তায় বলেন, কোমি অবশ্যই বিরাট রাজনৈতিক চাপের কারণে এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সাবেক কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি উইনারের ঘরে কম্পিউটারে তল্লাশি চালানোর সময় এফবিআই সন্দেহজনক ই-মেইলের খোঁজ পায়। উইনারের সাবেক স্ত্রী হুমা আবেদিন হিলারি ক্লিনটনের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী।
নতুন করে পাওয়া ওই ই-মেইলের কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) জেমস কোমি বহুল প্রচারিত এক চিঠিতে আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি সরকারি সার্ভারের বদলে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের সময় কোনো ‘গোপনীয়’ তথ্য চালাচালি করেছিলেন কি না, তা নিয়ে এফবিআই নতুন করে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। হঠাৎ এফবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়েন হিলারি ক্লিনটন।
তবে আত্মবিশ্বাসী হিলারি জানিয়েছিলেন, যতই তদন্ত করা হোক, খারাপ কিছুই পাওয়া যাবে না। বরং ভোটের মাত্র ১০ দিন আগে এমন একটি সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, তার ব্যাখ্যা চান এফবিআইয়ের কাছে।
একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে ডুবে থাকা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এফবিআইয়ের সরবরাহ করা নতুন ওই খবরকে কাজে লাগান।