মার্কিন নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীরা
প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৩
আর মাত্র পাঁচদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। ৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দেশটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহ্যগতভাবেই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর পরও অন্যান্য পার্টিও এই নির্বাচনে অংশ নেন।
জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের মনযোগের কেন্দ্রে থাকা এই নির্বাচনে এবার কারা লড়াই করেছে।
হিলারি ক্লিনটন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ডেমক্রেটিক পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে হওয়া বিভিন্ন জনমত জরিপের বেশিরভাগেই তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ফলে, এখনও পর্যন্ত তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। হিলারি জয়ী হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঘটনা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, রিপাবলিকান পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবাসন ব্যবসায়ী ধনকুবের ট্রাম্পের রাজনীতিতে পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বিভিন্ন সময়ে বেফাঁস ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে তিনি প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন, দেশে-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে তিনি কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
গ্যারি জনসন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, লিবার্টারিয়ান পার্টি
লিবার্টারিয়ান প্রার্থী গ্যারি জনসন। ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিউ ম্যাক্সিকোয় রিপাবলিকান গভর্নর ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়নের লড়াইয়েও ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে সরে এসে লিবার্টারিয়ান পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এবিসি নিউজের এক জরিপে দেখা গেছে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৫ শতাংশ ভোটার তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। তিনি একজন সাবেক নির্মাণ ব্যবসায়ী।
জিল স্টেইন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, গ্রিন পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন জিল স্টেইন। পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার স্টেইন। দুই-দলীয় যে ধারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছে তিনি তার বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও স্টেইন গ্রিন পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবিসি নিউজের জরিপে জানা যায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ শতাংশ ভোটার তাকে সমর্থন দিচ্ছে।
টিম কেইন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ডেমক্রেটিক পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন। ৫৮ বছর বয়সী সিনেটর টিম কেইন গর্ভপাত বিরোধী এবং মুক্তবাণিজ্য চুক্তির একজন সমর্থক। অনর্গল স্প্যানিশ ভাষা বলায় পারদর্শী কেইন আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণায় হিস্প্যানিক আমেরিকান জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিলারির সমর্থন ধরে রাখার বিষয়ে সহায়তা করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রে হিস্প্যানিক জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তিনি গর্ভপাতকে প্রত্যাখ্যান করলেও গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন করেন।
মাইক পেন্স, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, রিপাবলিকান পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিংমেট (ভাইস-প্রেসিডেন্ট)ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মাইক পেন্স। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে পেন্স ১২ বছর ওয়াশিংটনে কংগ্রেস সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গর্ভপাতবিরোধী কঠোর অবস্থানে থাকা ইন্ডিয়ানার গভর্নর পেন্স ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনেও সাক্ষরকারী। অনেকেই এই আইনটিকে সমকামিতা-বিরোধী আইন হিসেবেই দেখছেন।
উইলিয়াম ওয়েল্ড, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, লিবার্টারিয়ান পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্যারি জনসনের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) ম্যাসাটুসেটসের সাবেক গভর্নর উইলিয়াম ওয়েল্ড। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ম্যাসাটুসেটসে রিপাবলিকান গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজামু বারাকা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, গ্রিন পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) মানবাধিকার আইনজীবী আজামু বারাকা। স্টেইন তাকে একজন সোচ্চার আন্দোলনকর্মী, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং সংগঠক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত বারাকা যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার নিয়ে পত্রিকায় কলামও লিখে থাকেন।