ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি আমেরিকায়
প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৪৩ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১২:১৫
ধর্ষণের সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। নোংরা এ জঘন্য প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় আমেরিকায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে নারীর ৯১% এবং ৮% পুরুষ। পুরুষদের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানটা ৩৩ জনে ১ জন ধর্ষণের শিকার। এই দেশে ১৪ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণের মত অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয় শিশু মনে।
গোটা পৃথিবীর মধ্যে সন্তান এবং শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দেশে ধর্ষণের শাস্তি মাত্র দুই বছরের জেল। ইউরোপের সুইডেনেই সবচেয়ে বেশি (৫৮%) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তালিকায় তৃতীয় স্থনে রয়েছে সুইডেন।
এ জরিপে ৪র্থ নম্বরে আছে ভারত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুযায়ী ২০১২ সালে ভারতে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ে ২৪ হাজার ৯২৩টি। দেশটিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১০০ জন নারীর মধ্যে ৯৮ জনই আত্মহত্যা করেন। প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
পাঁচ নাম্বারে থাকা ব্রিটেনে প্রতিবছর চার লাখ মানুষ ধর্ষণের মত ঘটনার শিকার হন। প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন করে ধর্ষণের শিকার হন।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছর জার্মানিতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় ৬৫ লাখ ৭ হাজার, ৩৯৪।
সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্স। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের মত ঘটনা ফ্রান্সে অপরাধ বলেই মানা হতো না। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছরে এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন অন্তত ৭৫ হাজার নারী।
তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা কানাডায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১৮টি। প্রতি ১৭ জনের মধ্যে এক জন নারী এই দেশে ধর্ষণের শিকার হন।
নবম স্থানে থাকা শ্রীলংকায় অপরাধের শতাংশের বিচারে ১৪.৫ শতাংশ অপরাধ সংগঠিত হয় ধর্ষণে। ধর্ষণে অভিযুক্তদের ৬৫.৮% ধর্ষণের মত নারকীয় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেও কোনও প্রকার অনুশোচনা তাদের মধ্যে হয় না।
১০ নম্বরে থাকা ইথিওপিয়ায় ৬০% নারীই ধর্ষণের শিকার।