আগাম ভোটে এগিয়ে হিলারি
প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:৩৮
আর মাত্র ২৫ দিন বাকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ‘আগাম ভোট’ দিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
কেন্দ্রফেরত ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে একাধিক জরিপ সংস্থা জানায়, আগাম ভোটে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে আছেন। এদিকে সিএনএন/ওআরসির সর্বশেষ জনমত জরিপেও প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। খবর সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের নাগরিকই কারণ দর্শানোর ভিত্তিতে অথবা কোনো কারণ ছাড়াই আর্লি ভোটিং নামে পরিচিত ‘আগাম ভোটে’ অংশ নিতে পারেন।
মার্কিন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের নির্বাচনে সম্ভবত ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ আগাম ভোটের সুযোগ নেবেন। ২০০৮ ও ২০১২ সালে আগাম ভোট দেওয়া লোকের সংখ্যা ছিল মোট ভোটারের ৩০ শতাংশের বেশি। এ আগাম ভোট ব্যবস্থা গত চারটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জয়ের পেছনেও এই ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় আগাম ভোটে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। আগাম ভোটের বর্তমান ধারা যদি বজায় থাকে, তাহলে আগামী ৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ভোট গ্রহণের আগেই সম্ভবত হিলারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন। আগাম ভোট ব্যবস্থার কারণেই রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ট্রাম্প প্রবল চাপের মুখে আছেন। এ বিবেচনা থেকে হিলারি ও তার দল নতুন ভোটার তালিকাভুক্তি এবং আগাম ভোট প্রদানের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন।
ডেমোক্র্যাটরা বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছেন ফ্লোরিডা, আইওয়া, ওহাইও ও নেভাদার ওপর। ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচনী ফলাফলেই নির্ধারিত হবে এবারের প্রেসিডেন্টের ভাগ্য।
সিএনএন ও ওআরসি পরিচালিত গত অক্টোবরের যৌথ জরিপে দেখা যায়, হিলারি ক্লিনটন ৪৭ শতাংশ এবং ট্রাম্প ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন। চার প্রার্থীর এ জরিপে লিবারটেরিয়ান প্রার্থী গ্যারি জনসন ৭ শতাংশ এবং গ্রিন পার্টির স্টেইন ২ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।