পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৬, ১৯:১৪
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যের ইতিহাস ভেঙে প্রথমবারের মতো কলকাতার উন্মুক্ত রাজপথ রেড রোডে এ শপথ নিলেন তিনি।
এরপর শপথ বাক্য পাঠ করেন মন্ত্রী সভায় নিযুক্ত অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (নতুন মুখ), ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, শোভন চট্টোপাধ্যায় (নতুন মুখ), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভেন্দু অধিকারী (নতুন মুখ), রেজ্জাক মোল্লা (নতুন মুখ), সাধন পাণ্ডে, অবনীমোহন জোয়ারদার, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (নতুন মুখ), শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, ইন্দ্রনীল সেন (নতুন মুখ), লক্ষ্মীরতন শুক্ল (নতুন মুখ), পূর্ণেন্দু বসু, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (নতুন মুখ), সৌমেন মহাপাত্র, অরূপ রায়, চূড়ামণি মাহাতো (নতুন মুখ), গুলাম রব্বানি (নতুন মুখ), মলয় ঘটক, মন্টুরাম পাখিরা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাচ্চু হাঁসদা (নতুন মুখ), অসীমা পাত্র (নতুন মুখ), আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেমস কুজুর (নতুন মুখ), জাকির হোসেন (নতুন মুখ), সন্ধ্যারানি টুডু (নতুন মুখ), তপন দাশগুপ্ত (নতুন মুখ), শান্তিরাম মাহাতো, স্বপন দেবনাথ, চন্দ্রনাথ সিংহ, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, শ্যামল সাঁতরা (নতুন মুখ)।
শপথ মঞ্চে ওঠার আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এই প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলার মানুষের পথচলা শুরু হবে নতুন সকালের শপথ নিয়ে। নানা দেশের অনেক সম্মানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বাংলা আজ গর্বিত হবে, আবারও। আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা ধন্য। আবার নতুন করে কাজ শুরু করার আগে, মানুষের আশীর্বাদ, দোয়া, শুভ কামনা আর সহযোগিতা প্রার্থনা করি। জয় হোক মানুষের। জয় জয় জয়... জয়ও হে।’
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুরো কলকাতা সেজেছে নতুন সাজে। বিশেষত রেড রোড সেজেছে শুভ্র-নীল রঙে। পুরো রেড রোড এলাকাকেই বানানো হয়েছে শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চ। প্রশাসনের তরফ থেকে অতিথি ও সাধারণ দর্শক মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় বড় পর্দায় (জায়ান্ট স্ক্রিন) শপথ দেখানোরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এবার শপথ অনুষ্ঠানে এমন আয়োজন হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে তো নয়ই, সাম্প্রতিক অতীতে দেশের কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানেও এমন সমাবেশ হয়নি বলে প্রতীয়মান হবে।
দলটি বলছে, শপথ অনুষ্ঠানে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তো থাকছেনই, দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিরাও থাকছেন। এর মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বৃহস্পতিবারই (২৬ মে) কলকাতায় পৌঁছে গেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে যাচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
আরও থাকছেন নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশকুমার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা প্রমুখ। উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধি আহমেদ প্যাটেলেরও৷
রাজনীতিকদের বাইরে মুকেশ আম্বানি, সুভাষ চন্দ্র, অরুণ পুরীর মতো শিল্পপতিদের প্রতিনিধিদেরও থাকার কথা শপথ অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রিত হয়েছেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন ও বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের মতো তারকারাও।