হিলারি নাকি হিলারির বডি ডাবল?
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৫৬
নিরাপত্তার স্বার্থে সব বড় বড় রাজনৈতিক নেতারাই তাদের বডি ডাবল বা অনুরূপ মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু সম্প্রতি এমন বিতর্কে জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
রবিবার সকালে নাইন-ইলেভেনের অনুষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্রাম নিতে মেয়ে চেলসি ক্লিনটনের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন হিলারি। পরে জানানো হয়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
সেদিন মেয়ের ঘরে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর হিলারি হেঁটেই বেরিয়ে আসেন। হাত উঁচিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান; বলেন, তিনি এখন অনেকটাই ভালো বোধ করছেন।
কিন্তু মেয়ের অ্যাপার্টমেন্টে বিশ্রামের পর যে হিলারি ক্লিনটন হেঁটে বেরিয়ে এসেছিলেন, তিনি আসলেই হিলারি ছিলেন কি না, সে প্রশ্ন রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা।
৬৮ বছর বয়সী হিলারির প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের সামর্থ্য নিয়ে আগে থেকে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন সত্তরোর্ধ্ব প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প। হিলারির অসুস্থতার পর তা আবার তুলেছেন তিনি। তার সঙ্গে এখন হিলারির অনুরূপা নিয়ে সন্দেহের কথাও তুলেছেন তার সমর্থকরা।
যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়ের ঘর থেকে হাত উঁচিয়ে বেরিয়ে আসা হিলারির বাম তর্জনি এবং কানের দুলের ছবি দিয়ে আগের ছবির সঙ্গে তুলনা করে এই সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। হিলারির তখনকার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তার সঙ্গে আগের ছবির দুটি ‘অসামঞ্জস্য’ টুইটারে দেখিয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের অনেকে সন্দেহের কথা জানাচ্ছেন।
‘অলওয়েজ ট্রাম্প’ নামে খোলা একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে- “হিলারির তর্জনি তার অনামিকা থেকে বড় নয় (ছবিতে বড় দেখাচ্ছে)। এটা হিলারি হতেই পারে না।”
কেউ কেউ আগের ও পরের ছবি একসঙ্গে রেখে হিলারির কানের দুলের পার্থক্য তুলে ধরছেন।
কেউ আবার হিলারির নাকের সঙ্গেও মেয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা হিলারির পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন, “এটা অবশ্যই হিলারির বডি ডাবল (অনুরূপা), বয়স কম দেখাচ্ছে, শুকনা মনে হচ্ছে।”
একজন আবার লিখেছেন- “হিলারি বেরিয়ে আসার সময় তার পাহারায় কেউ ছিল না, এটা কখনও হয়! তিনি একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। এটা নিশ্চয়ই অন্য কেউ।”
তবে এই ধরনের সব সন্দেহের কথা উড়িয়ে দিচ্ছে হিলারি সমর্থকরা। স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও হিলারির স্বাস্থ্যশঙ্কার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।